সদাচরণ ভদ্রতা নম্রতা ও শালীনতা মানব জীবনের মহৎ গুন । বিনয় নম্রতা মানব চরিত্রের ভূষণ । এসব গুনের কারণে মানুষ সমাজে নন্দিত ও প্রশংসিত হয় । আ...
সদাচরণ
ভদ্রতা নম্রতা ও শালীনতা মানব জীবনের মহৎ গুন । বিনয় নম্রতা মানব চরিত্রের
ভূষণ । এসব গুনের কারণে মানুষ সমাজে নন্দিত ও প্রশংসিত হয় । আর এসব গুনের অভাবে মানুষ
নিগৃহীত লাঞ্ছিত অপমানিত ও নিন্দিত হয় । মহান আল্লাহ নিজে নম্র তিনি নম্রতাকে পছন্দ
করেন ভালবাসেন । তাই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত সকল ক্ষেত্রে নম্রতাকে অবলম্বন
করা । আল্লাহ বলেন অতএব আল্লাহর অনুগ্রহ এই যে তুমি তাদের প্রতি কোমল চিত্ত হয়েছিলে
তুমি যদি ককশভাষী কঠোর মন হতে তবে নিশ্চয়ই তারা তোমার সংসগ হতে সরে যেত । অতএবং তুমি
তাদেরকে ক্ষমা কর ও তাদের জন্যে ক্ষমা প্রাথনা কর এবং কায সম্বন্ধে তাদের সাথে পরামশ
কর । অনন্তর যখন তুমি সংকল্প কর তখন আল্লাহর প্রতি নিভর কর এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ নিভরশীলগণকে
ভালোবাসেন । (সুরা আলে ইমরান ১৫৯) । তিনি আরো বলেন ভালো এবং মন্দ সমান হতে পারে না
। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ
বন্ধুর মতো । অন্যত্র তিনি বলেন তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর হিকমত
ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে যুক্তিতক কর সদ্ভাবে তোমার প্রতিপালক তাঁর পথ ছেড়ে
কে বিপদগামী হয় সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত এবং কে সৎপথে আছে তাও সবিশেষ অবহিত । (নাহল
১২৫) আল্লাহ আরো বলেন যারা সচ্ছলতা ও অভাবের মধ্যে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সংবরন করে ও
মানুষকে ক্ষমা করে আর আল্লাহর তো সৎকমশীলদেরকে ভালোবাসেন । (আলে ইমরান ১৩৪) ক্ষমাশীলতা
অবলম্বন কর সৎকাজের আদেশ দাও এবং মূখ লোকদের এড়িয়ে চল ( আরাফ ১৯৯) । আয়েশা (রা) বলেন
রাসুল (ছাঃ) বলেছেন আল্লাহ কোমল তিনি কোমলতা ভালোবাসেন । আর তিনি কোমলতার প্রতি যত
অনুগ্রহ করেন কঠোরতা এবং অন্য কোন আচরণের প্রতি তত অনুগ্রহ করেন না । মুসলিমের অপর
এক বণনায় আছে একদা রাসুল (ছাঃ) আয়েশা (রা) কে বলেন কোমলতা নিজের জন্য বাধ্যতামুলক করে
নাও এবং কঠোরতা ও নিলজ্জতা হতে নিজেকে বাচাও ।কারণ যাতে নম্রতা ও কোমলতা থাকে তার সৌন্দয
বৃদ্ধি হয় । যাতে কোমলতা থাকে না তা দোষণীয় হয়ে পড়ে (মুসলিম মিশকাত হা৫০৬৮) জারীর
(রা) নবী (ছাঃ) হতে বণনা করেন তিনি বলেন যাকে কোমলতা ও নম্রতা হতে বঞ্চিত করা হয় তাকে
যাবতীয় কল্যাণ হতে বঞ্চিত করা হয় । (মুসলিম মিশকাত হা/৬০৫৯)
ইবনু ওমর (রা) বলেন রাসুল (ছাঃ) এক আনছারী ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন
তখন সে তার ভাইকে লজ্জা করার ব্যাপারে উপদেশ দিচ্ছিলো ।তখন রাসুল (ছাঃ) বললেন তাকে
ছেড়ে দাও ।কারণ লজ্জা হল ঈমানের অংশ । (বুখঅরি মুসলিম হা/৫০৭০)
COMMENTS