ধৈর্য ধারণের ফজিলত ।
যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এমন
মর্যাদা নির্ধারণ করা থাকে, যেখানে সে তার আমল দ্বারা পৌঁছানোর যোগ্যতা রাখে না, তখন
আল্লাহ্ তাকে তার শরীর অথবা তার সম্পদ কিংবা তার সন্তান-সন্ততির প্রতি বিপদ-আপদ দিয়ে
পরীক্ষা করেন এবং তাকে ঐ বিপদের উপর ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দেন। শেষ পর্যন্ত তাকে ঐ
নির্ধারিত মর্যাদায় পৌঁছে দেন।’’
[আবু দাউদ, আস-সুনান: ৩০৯০; আলবানি,
সিলসিলা সহিহাহ: ২৫৯৯; বিশুদ্ধ হাদিস]
.
এই হাদিস পড়ার পরও কি আমাদের
দুশ্চিন্তা, হতাশা বা দুঃখ থাকতে পারে?
হতে পারে, আপনি চারদিকে শত্রু দ্বারা
বেষ্টিত এবং আক্রান্ত; আপনার উচিত সবর করা। আল্লাহ্ বলেন, ‘‘যদি তোমরা সবর করো এবং
তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে তাদের কলা-কৌশল তোমাদের কোনো ক্ষতিসাধন করতে পারবে না।’’
[সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১২০]
.
ধৈর্য ধারণের ফজিলত এত বেশি যে, এর
ব্যাপারে কুরআনুল কারিমে বলা হয়েছে, ‘‘ধৈর্যশীলদেরকে হিসাব ছাড়া প্রতিদান দেওয়া
হবে।’’
[সুরা যুমার, আয়াত: ১০]
.
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি।
.
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরো
বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই আছে স্বস্তি।’’
[সূরা ইনশিরাহ, আয়াত: ০৬]
.
সর্বশেষ ইমাম ইবনুল কায়্যিম
রাহিমাহুল্লাহর একটি চমৎকার কথা শেয়ার করতে চাই। তিনি বলেন—
‘যখন আল্লাহ্ তোমাকে পরীক্ষা করেন,
সেটি মোটেও তোমাকে ধ্বংস করা নয়। যখন তিনি তোমার কাছ থেকে কোনো কিছুকে সরিয়ে নেন,
সেটির মানে হলো: তিনি তোমার হাত দুটোকে খালি করে দিয়েছেন—এর চেয়েও বড় কোনো
প্রতিদান দেওয়ার জন্য।’
COMMENTS