মানুষ প্রতিযোগিতা করে কোথায় দৌড়ায়।
দৌড়াও আল্লাহর দিকে প্রতিযোগিতা করে।
সূরা হাদীদ ২১নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেনএকে অপরের হতে অগ্রসর হয় দৌড়াও।
তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে যার বিশালতায় ও বিস্তৃত আকাশ ও পৃথিবীর নেয়।
যা প্রশস্ত করা হয়েছে সেই লোকদের জন্য যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান আনেন। ইহা একান্ত ভাবে আল্লাহর অনুগ্রহ বিশেষ ।
তিনি যাকে চান দান করেন আর আল্লাহ বড়ই অনুগ্রহশীল ।
এ আয়াতে আল্লাহ চারটি বিষয়ে বলেছেন
এক
রবের ক্ষমা পাওয়ার জন্য যেমন তেমন ভাবে চললে হবে না ।প্রতিযোগী মনোভাব নিয়ে চলতে হবে ।আল্লাহর মাগফিরাত নেওয়ার জন্য যেতে হবে।
খুবই মূল্যবান দুর্লভ বস্তু পাওয়ার জন্য যেমন মানুষ একে অপরের আগে ঠেলাঠেলি করে যায় ।
আল্লাহর মাগফিরাত পাবার জন্য সেভাবেই যেতে হবে।
ক্ষমার সাথে সাথে জান্নাত পাবার জন্য প্রতিযোগিতামূলক দৌড় দিতে হবে ।অন্যদের আগে যাতে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এমন প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে দৌড়াতে হবে।
জান্নাত ক নিজের বাড়ি মনে করে গুরুত্বের সাথে অগ্রসর হতে হবে ।রাস্তায় কোন খেলাধুলা দেখে থেমে গেলে চলবে না
তিন
জান্নাতের বিশালত্ব ও বিস্তৃত এত বেশি যে তা আসমান ও জমিনের নেয় এত বড় জায়গা যে জান্নাতের অন্যান্য মেহমান বেড়াতে আসলেও জায়গার কোন সমস্যা হবে না ।
চার
মাগফিরাত জান্নাত সকল মানুষের জন্য নয় বরং তাদের জন্য যারা প্রকৃত ভাবে ঈমান আনবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ।
এটা মহান আল্লাহর একান্ত মেহেরবানী যে তিনি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন ।
সূরা আলে ইমরান ১৩২থেকে ১৩৬ আয়াত পর্যন্ত।
আল্লাহ পথে দৌড়ানোর ব্যাখ্যা করে বলে দেওয়া হয়েছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুম মেনে নেয়া ও আশা করা যায় যে তোমাদের প্রতি দোয়া করা হবে সেই সাথে তীব্র গতিতে যা তোমাদের রবের মাগফিরাতের দিকে এবং আসমান-জমিন প্রশস্ত জান্নাতের দিকে চলে গেছে এবং যা মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
যারা সব সময়ই নিজেদের ধন-সম্পদ খরচ করে দূর ব্যবস্থা ও সচ্ছলতার অবস্থা উভয় অবস্থাতেই যারা ক্রোধকে হজম করে এবং অন্যান্যদের অপরাধ মাফ করে দেয় এমন নেককার লোককে আল্লাহ খুব ভালোবাসেন আর যাদের অবস্থা এমন যে তাদের দ্বারা যদি কোনো অশ্লীল কাজ সংঘটিত হয় যায় কিংবা কোন গুনাহ করে নিজেদের উপর যুলুম করে বসে তবে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কথা তাঁদের স্মরণ হয় এবং তার নিকট তাদের পাপের জন্য ক্ষমা চায় ।
কেননা আল্লাহ ছাড়া গুনা মাফ করতে পারে এমন কে আছে এই লোকেরা জেনে-বুঝে বাড়াবাড়ি করে না।
এই ধরনের লোকদের প্রতিফল তাদের রবের নিকট নির্দিষ্ট রয়েছে যে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রভাবিত হয় এবং সেখানে তারা চিরদিন থাকবে যারা কাজ করে তাদের জন্য কতই সুন্দরী না প্রতিফল রয়েছে।
সূরা আল-ইমরান ১৩২থেকে ১৩০ নং আয়াত।
দৌড়ানোর অর্থ
মানুষ সময় কাটায় সাধারণত ৫ ভাবে।
এক
বসে থেকে চিন্তা করে সময় অতিবাহিত করে।
দুই
শুয়ে শুয়ে ঘুম দিয়ে অথবা ঘুমের ভান করে ।
তিন
দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করে সময় কাটায় ।
চার
হেঁটে হেঁটে নিষ্প্রয়োজন অথবা ডাক্তারি পরামর্শ।
পাঁচ
দৌড়িয়ে অথবা ব্যায়াম অনুশীলণ ।
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সকল অবস্থায় তার আইন অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ।
যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দাঁড়িয়ে বসে এবং শুয়ে সকল অবস্থাতে।
সূরা আল ইমরান ১৯১আয়াত নামাজের হুকুম এর ক্ষেত্রে শারীরিক ভাবে অসমর্থ হলে বসে এবং শুয়ে নামাজ সম্পাদন করা যাবে কিন্তু সুস্থ-সবল শরীরে শুয়ে বসে নামায হয় না ।
মানুষ দৌড়ায় তিনটি কারণে
এক
জরুরী গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যাতে কোন অবস্থায় ছুটে না যায় সে জন্য আগ্রহ ও আকর্ষণে ।
দুই
সময় না থাকার কারণে এবং তা পূরণ দেওয়ার জন্য দৌড়ায়।
তিন
নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে একশতভাগ আনুগত্য করার জন্য দৌড়ায়।
অতএব আমরা নিজেদের প্রয়োজনে এই দুনিয়াতে সুখ শান্তি আরাম আয়েশ করে থাকার জন্য খাবার জন্য পৃথিবীতে নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ ভালোবাসা আদায় করার জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে প্রতিযোগিতামূলক করে দৌড়াই।
কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন দুনিয়ার জীবনই আসল জীবন নয় এটি হলো সামরিক জীবন তোমরা দৌড়াও আমার জন্য পরকালে জান্নাত এর আসার জন্য কিন্তু আজকে আমরা তা উল্টা করতেছি এবং নিজের চাহিদা দুনিয়াতে ভালোবাসা অর্থের লোভে আমরা আজকে দুনিয়াতে প্রতিযোগিতামূলক করে দৌড়াচ্ছি।
কিন্তু আল্লাহতালা বলতেছে তোমরা পরকালে জান্নাত পাওয়ার জন্য জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পৃথিবীর মায়া মমতা ভালবাসা ছেড়ে পরকালের সুখ শান্তি লাভের জন্য আল্লাহর রসূল কুরআন হাদিস এবং আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করার জন্য প্রতিযোগিতা করে দৌড়াও।
COMMENTS